হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম জাফর আস-সাদিক (আ.) বলেছেন,
ثَلاثٌ مَنْ كُنَّ فيهِ فَهُوَ مُنافِقٌ وَاِنْ صامَ وَصَلّى: مَنْ اِذا حَدَّثَ كَذِبَ وَاِذا وَعَدَ اَخْلَفَ وَ اِذَا ائْتـُمِنَ خـانَ
যার মধ্যে তিনটি গুণ থাকবে- সে মুনাফিক, এমনকি যদি সে রোজা রাখে ও নামাজও পড়ে:
১. যখন কথা বলে, মিথ্যা বলে,
২. যখন ওয়াদা করে, তা ভঙ্গ করে,
৩. যখন আমানত দেওয়া হয়, খিয়ানত করে।
[তুহাফুল উকুল, পৃষ্ঠা ২২৯]
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
এই হাদিসে মুনাফিকের তিনটি প্রধান চিহ্ন বা আলামত উল্লেখ করা হয়েছে:
১. মিথ্যা বলা– সত্য গোপন করা বা মিথ্যা কথা বলা মুনাফেকির লক্ষণ।
২. ওয়াদা ভঙ্গ করা– কথা দিয়ে তা রাখা না, বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় দেয়।
৩. আমানতে খিয়ানত– বিশ্বাসের জিনিস বা দায়িত্বে অবহেলা বা অসাধুতা প্রকাশ পায়।
সতর্কতা: নফল ইবাদত করলেও এই গুণগুলো থাকলে ব্যক্তি মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য বহন করে।
শিক্ষা: সত্যবাদিতা, প্রতিশ্রুতি রক্ষা ও আমানতদারিতা ঈমানের অপরিহার্য অংশ। এগুলো ছাড়া শুধু নামাজ-রোজা যথেষ্ট নয়।
আপনার কমেন্ট